
Category: SAAO নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি
-
সেক্স ফেরোমন ফাঁদ
ভূমিকা:
সেক্স ফেরোমন হচ্ছে এক ধরনের জৈব রাসায়নিকপদার্থ যা কোন প্রজাতির স্ত্রী পোকা কর্তৃক একই প্রজাতির পুরুষ পোকাকে প্রজনন কার্যে আকৃষ্ট করার জন্য প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন হয়। সেক্স ফেরোমনের গন্ধে পুরুষ পোকা আকৃষ্ট হয়ে স্ত্রী পোকার সহিত মিলিত হয়। স্ত্রী পোকা কর্তৃক নিঃসৃত পদার্থের গন্ধটি কৃত্রিমভাবে তৈরি করে সেক্স ফেরোমন ফাঁদে ব্যবহার করা হয়। ফাঁদটি সহজ লভ্য ও সস্তা দ্রব্যাদি দিয়ে তৈরি অথচ পোকা ধরার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। কৃষকের নিকট এটি যাদুর ফাঁদ নামে পরিচিত।
সেক্স ফেরোমন ফাঁদের সুবিধা:
- এটি মানুষ বা পরিবেশের কোনরুপ ক্ষতি করে না
- সেক্স ফেরোমন ব্যবহারে উৎপাদন খরচ অনেক কম হয়
- ফসলের ক্ষতিকর পোকা কার্যকর ভাবে দমন হয়
- বালাইনাশকের প্রতি পোকার প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় না
- ফলন বৃদ্ধি পায়।
ফেরোমন ফাঁদা স্থাপনের উদ্দেশ্য:
- পোকার উপস্থিতি মনিটরিং বা পর্যবেক্ষণ করা
- অধিক হারে পুরুষ পোকা আটকানো
- পোকার প্রজনন কাজে বাঁধা সৃষ্টি করা।
ফেরোমন ফাঁদ তৈরির উপকরণ:
- সেক্স ফেরোমন টোপ (লিউর)
- একটি প্লাষ্টিক বৈয়ম (ফাঁদ)
- ফাঁদটি মাঠে স্থাপনের জন্য ১/২টি খুঁটি
- গুড়া সাবান
- পানি।
ফেরোমন ফাঁদ তৈরি:
ফেরোমন ফাঁদ তৈরির জন্য সাধারণত তিনটি উপাদান প্রয়োজন হয় যেমন-ফেরোমন টোপ, একটি ফাঁদ (বৈয়াম) এবং ফাঁদ স্থাপনের জন্য ১/২টি খুঁটি। এ ফাঁদে ২২ সেমি. লম্বা চার কোণাকৃতি বা গোলাকার একটি প্লাষ্টিকের পাত্র ব্যবহার করা হয়। বৈয়ামের তলদেশে ৩/৪ সেমি. সাবান মিশ্রিত পানি রাখতে হবে এবং পানির ২/৩ সেমি. উপরে টোপ ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
প্রথমত প্রায় তিন লিটার পানি ধারণ ক্ষমতাযুক্ত ২২ সেমি. গোলকার বা চার কোণা বিশিষ্ট প্লাষ্টিকের পাত্র (বৈয়াম) এর উভয় পার্শ্বে পাত্রের নিচ বা তলা হতে ৪-৫ সেমি. উঁচুতে ত্রিভূজাকারে কেটে ফেলতে হবে। ত্রিভূজের নিচের বাহু সাধারণত ১০-১২ সেমি. এবং উচ্চতা ১১-১২ সেমি. হওয়া বাঞ্চণীয়।
দ্বিতীয়ত সাবান মিশ্রিত পানি সব সময় পাত্রের তলা হতে উপরের দিকে কমপক্ষে ৩-৪ সেমি. পর্যন্ত রাখা আবশ্যক। পাত্রের ঢাকনার মাঝে কালো রং এর একটি ল্যুপ বসানো থাকে। ল্যুপের নিচের ছিদ্রে সরু তার বাঁধা হয়। তারের অপর মাথায় ফেরোমন সম্বলিত টিউব (লিউর) এমনভাবে বাঁধতে হবে যেন লিউরটি সাবান মিশ্রিত পানি হতে ২-৩ সেমি. উপরে থাকে। সতর্ক থাকতে হবে যেন পাত্রের তলায় রক্ষিত সাবান পানি শুকিয়ে না যায়। যত্নের সাথে ব্যবহার করলে একটি পাত্র (বৈয়াম) ২-৩ মৌসুম পর্যন্ত চলতে পারে।
জমিতে ফেরোমন ফাঁদ স্থাপনের সময়:
বেগুন ফসল: বেগুন ফসলের জমিতে সাধারণত চারা রোপণের ২/৩ সপ্তাহ পর হতেই বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ শুরু হয়। অতএর ফসলের এ পর্যায় হতেই ফাঁদ স্থাপন করা আবশ্যক। পোকা সফলভাবে দমন করার জন্য শেষবার ফসল সংগ্রহ করা পর্যন্ত ফেরোমন ফাঁদ জমিতে রাখতে হবে।
কুমড়াজাতীয় ফসল: কুমড়া জাতীয় ফসলের কচি ফুল বা কচি ফলে মাছি পোকা আক্রমণ করে। তাই ফুল আসার সাথে সাথে ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করতে হবে। কুমড়াজাতীয় সব্জির মাছি পোকা সফলভাবে দমন করার জন্য শেষবার ফসল সংগ্রহ করা পর্যন্ত ফেরোমন ফাঁদ জমিতে রাখতে হবে।
কপিজাতীয় ফসল: চারা লাগানোর ১২-১৫ দিন পর হতে পোকার ফেরোমন ফাঁদ জমিতে স্থাপন করতে হবে। পোকা সফলভাবে দমন করার জন্য ফসল সংগ্রহ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফেরোমন ফাঁদ জমিতে রাখতে হবে।
ফেরোমন ফাঁদ স্থাপনের হার:
ফসল ও পোকা ভেদে ভিন্ন
ফেরোমন ফাঁদের নাম একর প্রতি সংখ্যা বিঘা প্রতি সংখ্যা ফাঁদ থেকে ফাঁদের দূরত্ব বিএসএফবি ৪০ টি ১৩-১৪ টি ১০ মি. কুমড়া জাতীয় সব্জির মাছি পোকার ফাঁদ ৩২ টি ১১ টি ১২ মি. ফলের মাছি পোকার ফাঁদ ৩২ টি ১১ টি ১২ মি. স্পোডোপ্টেরা পোকার ফাঁদ ১৮ টি ৬ টি ২৫ মি. ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন কৌশল:
- প্লাষ্টিকের বৈয়ামের ত্রিকোণাকা কর্তিত অংশের মাঝ বরাবর তার ঝুলিয়ে দিয়ে ফেরোমন লিউর/টোপটি ঝুলিয়ে দিতে হবে
- ফাঁদের কর্তিত অংশ উত্তর দিক বরাবর মূখ করে ঝুলাতে হবে
- সব্জি ফসলে গাছের উচ্চতা বরাবর ফাঁ স্থাপন করতে হবে।
ফেরোমন ফাঁদ ও টোপ পরিবর্তনের সময়:
- সাবধানতা ও যত্নের সাথে ব্যবহার করলে একটি ফাঁদ ২-৩ মৌসুম পর্যন্ত ব্যবহার কর যায়
- অতিরিক্ত বৃষ্টি, রোদ বা বাতাসে ফাঁদ নষ্ট হতে পারে, সে ক্ষেত্রে দেরী না করে জমিতে নতুন ফাঁদ স্থাপন করতে হবে।
ফেরোমন ফাঁদ স্থাপনের পর করণীয়:
- প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে
- প্রতিদিন ফাঁদের পানি পরীক্ষা করে মরে থাকা পোকা ফাঁদের পানি থেকে আঙ্গুল/কাঠি দিয়ে সরিয়ে ফেলতে হবে
- ৩/৪ দিন পর পর সাবান পানি পাল্টে দিতে হবে
- সাবান পানির স্তর সর্বদাই ৩-৪ সেমি. রাখতে হবে
- ফাঁটা বা ছিদ্রযুক্ত ফাঁদ পরিবর্তন করে নতুন ফাঁদ প্রতিস্থাপন করতে হবে
- সব্জি ফসলের ক্ষেত্রে গাছের বৃদ্ধির সাথে সাধে ফাঁদটিকেও ক্রমান্বয়ে উপরের দিকে তুলতে হবে
- নির্দিষ্ট সময় পর লিউর পরিবর্তন করতে হবে।
ফেরেোমন ফাঁদ ব্যবহারের সতর্কতা:
- বেগুন ও কপি জাতীয় ফসলের লিউর স্থাপনের সময় লিউরটির মুখ কোনভাবেই খোলা যাবে না
- লিউর কোনভাবেই পানিতে ভিজানো যাবে না
- প্যাকেট কাটার পর পরই লিউরটি ব্যবহার করতে হবে, কোন ক্রমেই পরবর্তী ব্যবহারের জন্য রাখা যাবে না
- কুমড়া জাতীয় ফসলের লিউরের প্যাকেট ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে এবং বেগুন ও কপি জাতীয় ফসলের লিউর ডিপ চেম্বারে রাখতে হবে।
কামরুল আলম
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা।
-
বেগুনের ক্ষতিকর পোকামাকড় ও রোগসমূহ
বেগুন সোলানেসি পরিবারের এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সবজি। এ দেশে বসতবাড়িতে ও বাণিজ্যিকভাবে বেগুনের চাষ করা হয়। এ দেশে সবজি চাষে আওতায় যে পরিমাণ জমি রয়েছে তার প্রায় শতকরা ১৫ ভাগ জমিতে বেগুন চাষ করা হয়। প্রায় সারা বছর এ দেশে বেগুন চাষ করা হয়। বেগুন ফসল উৎপাদনে বালাই তথা পোকামাকড় ও রোগ অন্যতম প্রধান সমস্যা।
বেগুনের ক্ষতিরকর রোগসমূহ:
চারা ধ্বসা
শিকড় পচা
শিকড়ে গিট
ফল পচাঁ ও গোড়া পচাঁ
সারকোস্পোরা পাতায় দাগ
অল্টারনারিয়া পাতায় দাগ
ক্ষুদ্রে পাতা
আগাম ধ্বসা
ব্যাকটেরিয়াজনিত ঢলে পড়া
ছত্রাকজনিত ঢলে পড়া
কান্ড পচা
মোজাইক
বেগুনের ক্ষতিকর পোকামাকড় গুলো:
ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা
কাঁটালে পোকা
ছাতরা পোকা
কাটুই পোকা
উরচুঙ্গা
বিছা পোকা
সাদা মাছি
জ্যাসিড বা শ্যামা পোকা
পাতা মোড়ানো পোকা
এফিড বা জাব পোকা
পাতার বিটল
ঘোড়া পোকা
লেদা পোকা
থ্রিপস
পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকা
ক্ষুদ্র লাল মাকড়
-

পরীক্ষার সময়সূচি
পরীক্ষা নং তারিখ সময় বিষয় ১ ০৬/১০/২০২৪ রাত ৮.৩০ মিনিট বাংলা ভাষা, ব্যাকরণ ও বিসিএস প্রিলি ৪৫ ২ ০৮/১০/২০২৪ রাত ৮.৩০ মিনিট Sentence ও বিসিএস প্রিলি ৪৪ ৩ ১০/১০/২০২৪ রাত ৮.৩০ মিনিট প্রাচীন যুগের ইতিহাস ও বিসিএস প্রিলি ৪৩ ৪ ১২/১০/২০২৪ রাত ৮.৩০ মিনিট ধ্বনি, বর্ণ ও বিসিএস প্রিলি ৪২ ৫ ১৫/১০/২০২৪ রাত ৮.৩০ মিনিট উদ্ভিদ পুষ্টি ও সার ব্যবস্থাপনা বিসিএস প্রিলি ৪১ ৬ ১৭/১০/২০২৪ রাত ৮.৩০ মিনিট Noun, Number, Gender ও বিসিএস প্রিলি ৪০ ৭ ২০/১০/২০২৪ রাত ৮.৩০ মিনিট পরীক্ষা নং: ১ থেকে ৬ রিভিশন ৮ ২২/১০/২০২৪ রাত ৮.৩০ মিনিট মধ্যযুগের ইতিহাস (১২০৪-১৯৪৭) ও বিসিএস প্রিলি ৩৯ ৯ ২৪/১০/২০২৪ রাত ৮.৩০ মিনিট ণত্ব ও ষত্ব বিধান ও বিসিএস প্রিলি ৩৮ ১০ ২৬/১০/২০২৪ রাত ৮.৩০ মিনিট Pronoun, Verb, Adjective বিসিএস প্রিলি ৩৭ ১১ ২৮/১০/২০২৪ রাত ৮.৩০ মিনিট শব্দও বাংলা ভাষায় শব্দ ভান্ডার ও বিসিএস প্রিলি ৩৬ ১২ ৩১/১০/২০২৪ রাত ৮.৩০ মিনিট ফসলের রোগ ও বিসিএস প্রিলি ৩৫ ১৩ ০৫/১১/২০২৪ রাত ৮.৩০ মিনিট পরীক্ষা নং: ১ থেকে ১২ পর্যন্ত ন্ত -

লাউয়ের মাছি পোকা
লাউয়ের মাছি পোকা Bactrocera cucurbitae (Diptera: Tephritidae)
ক্ষতির প্রকৃতি
১. পোকা সাধারণত কচি ফলে আক্রমণ বেশি করে।
২. কোনো কোনো সময় স্ত্রী মাছি ফুলের দলমন্ডল ও কান্ডেও ডিম পাড়ে।
৩. ডিম পাড়ার পর ফলের গায়ে আক্রমণ চিহ্ন দেখা যায়।
৪. ডিম হতে কীড়া বের হয়ে ফলের শাঁস খেয়ে বড় হতে থাকে।
৫.আক্রান্ত ফল পচে যায় এবং অকালে ঝরে পড়ে।
৫. বেঁচে থাকা আক্রান্ত ফলগুলো বিকৃত হয় এবং ঠিকমত বাড়তে পারে না। প্রায় সারা বছরেই মাছি পোকার আক্রমণ লক্ষ্য করা যায় তবে বর্ষাকালে সর্বাধিক আক্রমণ লক্ষ্য করা যায়।
GAP অনুসারে দমন ব্যবস্থাপনা (Control measure)
১. পরিস্কার পরিচ্ছনড়ব চাষাবাদ: মাছি পোকার কীড়া আক্রান্ত ফলসমূহ সংগ্রহ করে মাটির ১ ফুট নীচে পুতে ফেলতে হবে। প্রতি সপ্তাহে কাজটি নিয়মিত করতে হবে।
২. সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার: লাউ ফসলের জমিতে গাছে ফুল আসার পূর্বে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ১২ মি. দূরে দূরে স্থাপন করতে হবে। ৪-৫ দিন পর পর ফাঁদের সাবান পানি পরিবর্তন করে দিতে হবে।
৩. হলুদ আঠালো ফাঁদের ব্যবহার: সেক্স ফেরোমন ইমপ্রেগনেটেড হলুদ আঠালো ফাঁদ ২৫ মিটার দূরে দূরে ঝুলিয়ে দিতে হবে।
৪. পুরুষ মাছি পোকা আকর্ষণ করার জন্য কিউলিউর ফেরোমন ও জৈব বালাইনাশক মিশ্রিত জেল বা পেষ্ট বাগানের সীমানা লাইনে অবস্থিত গাছের লতানো কান্ডে বা মাচার বাঁশে (মাটি হতে ২-৩ ফুট উপরে) ১০-১২ মিটার দূরে দূরে অল্প পরিমাণ লাগিয়ে দিতে হবে। এই ভাবে সারা বাগানের সীমানা লাইনে কিউলিউর ফেরোমন ও জৈব বালাইনাশক মিশ্রিত জেল লাগিয়ে দেওয়ার ফলে অন্য বাগানেরও পুরুষ মাছি পোকাসমূহ সীমানা লাইনের গাছে পেষ্টের মধ্যে আকৃষ্ট হয়ে মারা যাবে।
৫. স্ত্রী মাছি পোকাকে আকৃষ্ট করে মেরে ফেলার জন্য বাগানের ভিতরের গাছ গুলিতে ১০-১২ মিটার দূরে দূরে জৈব বালাইনাশক মিশ্রিত পোকার খাবারসহ একটি ফাঁদ গাছের লতায় বা মাচার বাঁশে ঝুলিয়ে দিতে হবে। এর ফলে বাগানের ভিতরে থাকা সকল স্ত্রী পোকা খাবারের লোভে আকৃষ্ট হয়ে ফাঁদের কাছে ছুটে যাবে এবং মারা যাবে।
সংগ্রহ: বাংলাদেশ GAP প্রোটকল: লাউ
GAP ইউনিট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫।
-
মরিচ গাছ ঝোপালো করার সহজ কৌশল
মরিচ গাছের ডালপালা বা শাখা প্রশাখা যত বেশি হবে, মরিচের ফলন তত বেশি হবে। গাছও দেখতে সুন্দর লাগবে। মরিচ পাকলে ফুলের মতো দেখাবে। মরিচের মূল গাছের আগা বা মাথা কেটে দিলে, গাছের পাশ দিয়ে শাখা প্রশাখা বের হয়ে ঝোপালো হবে।
কখন ডাল কাটবেন:
১. মরিচের চারা রোপনের পর ৬-৮ ইঞ্চি লম্বা হলে আগা বা মাথা কেটে নিতে হবে। এতে গাছের পাশ দিয়ে প্রচুর ডাল বের হবে। কোন কারণে গাছ লম্বা হয়ে গেলে , শাখা প্রশাখা না থাকলে ১০-১২ ইঞ্চি পরিমাণ রেখে মাথা কেটে দিতে হবে।
২. মরিচের ফলন দেয়ার পর পাতাগুলো হলুদ হলে, গাছ কিছুটা দুর্বল মনে হলে, ডাল কেটে দিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে, গাছের পাশ দিয়ে শাখা বের হচ্ছে কিনা।
৩. অতিরিক্ত পানির কারণে গাছ নেতিয়ে পড়লে ডালপালা কেটে দিয়ে ছায়ায় রাখতে হবে। পানি দেয়া বন্ধ রাখতে হবে। মাটি শুকাতে হবে। গাছে পানি স্প্রে করতে হবে। এক সময় শাখা বের হবে।
ডাল কাটার পর করণীয়
১. মূল গাছের চারপাশ দিয়ে প্রচুর শাখা বের হবে। তখন গোড়ার দিকে সকল শাখা কেটে ফেলতে হবে।
কিছুটা উপর থেকে সবল শাখাগুলো রেখে বাকী শাখা কেটে ফেলতে হবে।
২. পানি দেয়া কমিয়ে দিতে হবে। মাটি না শুকালে পানি দেয়া যাবে না।
তথ্য সূত্র:
ড. মুহাম্মদ শাহাদৎ হোসাইন সিদ্দিকী, সিনিয়র সহকারী পরিচালক, নাটা,গাজীপুর।
সংগ্রহ: কৃষি তথ্য সার্ভিস, রাজশাহী (লিফলেট)
বোরো ধানের শুকনা বীজতলা তৈরি পদ্ধতি
-
ব্রি ধান১০০ পরিচিতি
জাত পরিচিতি:
ব্রি ধান১০০ বোরো মৌসুমের একটি জাত। জাতটি কৌলিক সারি বিআর৮৬৩১-১২-৩-৫-পি২। সারিটি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে বিআর ৭১৬৬-৫বি-৫ ও বিজি৩০৫ এর সাথে ২০০৬ সালে সংকরাণ করা হয় এবং পরবর্তীতে বংশানুক্রম সিলেকশন এর মাধ্যমে উদ্ভাবিত হয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর গবেষণা মাঠে ৫ বৎসর ফলন পরীক্ষার পর কৌলিক সারিটি ২০১৭ সালে ব্রি’র আঞ্চলিক কার্যালয় সমূহের গবেষণা মাঠে ও ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষক মাঠে পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং ২০২০ সালে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি কর্তৃক স্থাপিত প্রস্তাবিত জাতের ফলন ‘পরীক্ষায় (পিভিটি) সন্তোষজনক হওয়ার জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক ছাড়করণ করা হয়।
বি ধান১০০ বৈশিষ্ট্য
১. আধুনিক উফশী সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
২. গাছের বৃদ্ধি পর্যায়ে আকার আকৃতি ব্রি ধান৭৪ এর মতো।
৩. ডিগ পাতা খাড়া, প্রশস্থ ও লম্বা এবং পাতার রং সবুজ।
৪. পূর্ণ বয়স্ক গাছের উচ্চতা ১০১ সেমি।
৫. ১০০০টি পুষ্ট ধানের ওজন ১৬.৭ গ্রাম।
৬. ধানের দানার রং খড়ের মত।
৭. চাল মাঝারি চিকন ও সাদা।
৮. জিংকের পরিমান ২৫.৭ মি. গ্রাম/কেজি।
৯. চালের অ্যামইলোজ ২৬.৮% এবং প্রোটিন ৭.৮%।
ব্রি ধান১০০ জাতের বিশেষ প্রয়োজনীয়তা
ব্রি ধান১০০ এর জীবনকাল ১৪৮ দিন যা ব্রি ধান৭৪ এর প্রায় সমান । এ জাতের ফলন ব্রিধান৭৪ এর চেয়ে সামান্য বেশি (৪.৫%) এবং ধানের গুনগত মান ভাল অর্থাৎ চালের আকৃতি মাঝারি চিকন এবং ব্রি ধান৮৪ এর চেয়ে ফলন প্রায় ১৯% বেশি। তাছাড়া জাতটিতে জিংকের পরিমাণ (২৫.৭ মি. গ্রাম/কেজি) ব্রি ধান৭৪ এর চেয়ে বেশি (২৪.২ মি. গ্রাম/কেজি)। যা জিংকের অভাব পূরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এ জাতের ধানের দানা ব্রি ধান৪৯, নাইজারশাইল ও ঝিরা ধানের দানার মত। দেশের যে সকল অঞ্চলে বোরো মৌসুমে জিরা নামক জাতের চাষাবাদ করা হয় সেসব অঞ্চলে জাতটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে আশা করা যায়।
জীবনকাল: ব্রি ধান১০০ জাতটির জীবনকাল ১৪৮ দিন।
ফলন: ব্রি ধান১০০ এর গড় ফলন ৭.৭ টন/হেক্টর। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে অনুকূল পরিবেশে হেক্টর প্রতি ৮.৮ টন পর্যন্ত ফলন দিতে পারে।
-
উত্তম কৃষি চর্চা কি?
উত্তম কৃষি পদ্ধতি হলো সামগ্রিক কৃষি কাযক্রম যা অনুসরণে নিরাপদ এবং মানসম্পন্ন খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত কৃষিজাত পণ্য সহজলভ্য, পরিবেশ, অর্থনীতি এবং সামাজিক সুরক্ষা সুসংহত হয। উত্তম কৃষি চর্চায় এমন পদ্ধতিসমূহের চর্চা করা হয় যা খামারে প্রয়োগ করার ফলে উৎপাদন, সংগ্রহ এবং সংগ্রহোত্তর পর্যায়ে নিরাপদ ও মানসম্পনন খাদ্যের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। এটি একগুচ্ছ নীতি বিধি ও প্রযুক্তিগত সুপারিশমালা যা সামগ্রিক কৃষি উৎপাদন, প্রকিয়াকরণ ও পরিবহনের বিভিন্ন স্তরে প্রয়োগ করা হয় যা মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পরিবেশ সংরক্ষণ, পণ্য মান উন্নয়ন ও কাজের পরিবেশ উন্নত করে।
