ব্রি ধান১০০ পরিচিতি

জাত পরিচিতি:

ব্রি ধান১০০ বোরো মৌসুমের একটি জাত। জাতটি কৌলিক সারি বিআর৮৬৩১-১২-৩-৫-পি২। সারিটি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে বিআর ৭১৬৬-৫বি-৫ ও বিজি৩০৫ এর সাথে ২০০৬ সালে সংকরাণ  করা হয় এবং পরবর্তীতে বংশানুক্রম সিলেকশন এর মাধ্যমে উদ্ভাবিত হয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর গবেষণা মাঠে ৫ বৎসর ফলন পরীক্ষার পর কৌলিক সারিটি ২০১৭ সালে ব্রি’র আঞ্চলিক কার্যালয় সমূহের গবেষণা মাঠে ও ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষক মাঠে পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং ২০২০ সালে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি কর্তৃক স্থাপিত প্রস্তাবিত জাতের ফলন ‘পরীক্ষায় (পিভিটি) সন্তোষজনক হওয়ার জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক ছাড়করণ করা হয়।

বি ধান১০০ বৈশিষ্ট্য

১. আধুনিক উফশী সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।

২. গাছের বৃদ্ধি পর্যায়ে আকার আকৃতি ব্রি ধান৭৪ এর মতো।

৩. ডিগ পাতা খাড়া, প্রশস্থ ও লম্বা এবং পাতার রং সবুজ।

৪. পূর্ণ বয়স্ক গাছের উচ্চতা ১০১ সেমি।

৫. ১০০০টি পুষ্ট ধানের ওজন ১৬.৭ গ্রাম।

৬. ধানের দানার রং খড়ের মত।

৭. চাল মাঝারি চিকন ও সাদা।

৮. জিংকের পরিমান ২৫.৭ মি. গ্রাম/কেজি।

৯. চালের অ্যামইলোজ ২৬.৮% এবং প্রোটিন ৭.৮%।

ব্রি ধান১০০ জাতের বিশেষ প্রয়োজনীয়তা

ব্রি ধান১০০ এর জীবনকাল ১৪৮ দিন যা ব্রি ধান৭৪ এর প্রায় সমান । এ জাতের ফলন ব্রিধান৭৪ এর চেয়ে সামান্য বেশি (৪.৫%) এবং ধানের গুনগত মান ভাল অর্থাৎ চালের আকৃতি মাঝারি চিকন এবং ব্রি ধান৮৪ এর চেয়ে ফলন প্রায় ১৯% বেশি। তাছাড়া জাতটিতে জিংকের পরিমাণ (২৫.৭ মি. গ্রাম/কেজি) ব্রি ধান৭৪ এর চেয়ে বেশি (২৪.২ মি. গ্রাম/কেজি)। যা জিংকের অভাব পূরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এ জাতের ধানের দানা ব্রি ধান৪৯, নাইজারশাইল ও ঝিরা ধানের দানার মত। দেশের যে সকল অঞ্চলে বোরো মৌসুমে জিরা নামক জাতের চাষাবাদ করা হয় সেসব অঞ্চলে জাতটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে আশা করা যায়।

জীবনকাল: ব্রি ধান১০০ জাতটির জীবনকাল ১৪৮ দিন।

ফলন: ব্রি ধান১০০ এর গড় ফলন ৭.৭ টন/হেক্টর। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে অনুকূল পরিবেশে হেক্টর প্রতি ৮.৮ টন পর্যন্ত ফলন দিতে পারে।

উত্তম কৃষি চর্চা কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *