বোরো ধানের শুকনা বীজতলা তৈরি পদ্ধতি

শুকনা বীজতলা কেন করবেন?


বোরো ধানের শুকনা বীজতলা তৈরী করলে পানি দিতে হয় না, শীতে চারার কোন ক্ষতি হয় না, চারা উঠাতে কম শ্রমিকের প্রয়োজন হয় এবং চারার শিকড়/গোড়া/কান্ড মুচকে যায় বা আঘাত প্রাপ্ত হয় না। আবাদকৃত জমিতে ধানের ফলন তুলনামুলক ভাবে বেশী হয়। তাই বেশি ফলন পেতে হলে সঠিক বয়সের চারা রোপনের কোন বিকল্প নেই। আর সঠিক বয়সের চারার জন্য শুকনা বীজতলা একটি আদর্শ পদ্ধতি।

শুকনা বীজতলা তৈরীর পদ্ধতি?

১. উচু দোআশ এবং বেলে দোআশ মাটি নির্বাচন করতে হবে এবং মাটিতে রস না থাকলে সেচ দিতে হবে।

২. “জো” অবস্থায় আসলে ভাল ভাবে চাষ মই দিয়ে জমি মিহি করে তৈরী করতে হবে।

৩. ধানের বীজতলা ১.২৫ মিটার প্রস্থ করে তৈরী করতে হবে।

৪. দুই বীজতলার মাঝে ১ফুট নালা রাখতে হবে।

৫.  বীজতলা তৈরীরর পর তার উপর দিয়ে ১-১.৫ ইঞ্চি পুরু করে পচা গোবরের আস্তরণ দিতে হবে।

৬. এরপর মুখ ফোটানো বীজ প্রতি শতকের ২.৫ থেকে ৩ কেজি বীজ বুনতে হবে। বীজগুলি হাত দিয়ে নেড়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে।

৭. বীজতলায় “জো” আছে কিনা মাছে মাঝে তা দেখে নিতে হবে।

৮. স্বচ্ছ পলিথিন (কালো ব্যতীত) দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে।

৯. বীজতলার পলিথিনের চারপাশ দিয়ে শক্ত ঢেলা বা মাটি দিয়ে আটকে দিতে হবে।

১০. পলিথিন ঘনঘন উচু করা যাবে না এতে রস শুকিয়ে যেতে পারে।

১১. যে দিন মূল জমিতে চারা লাগাবেন তার ঠিক ৩৫ দিন আগে বীজতলায় বীজ বপন করতে হবে।

১২. মুল জমিতে চারা লাগানোর ঠিক ৫ দিন আগে থেকে সকালে প্রতিদিন পলিথিন সরিয়ে দিতে হবে এবং বিকালে আবার ঢেকে দিতে হবে।

১৩. এই ভাবে ৫দিন চারাকে রোদ খাওয়ানোর (সহ্য ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য) পর মূল জমিতে রোপন করতে হবে।

বিস্তারিত তথ্যের জন্য উপজেলা কৃষি অফিস ‘বা আপনার ব্লকে ‘নিয়োজিত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিন

অথবা সরকারি কৃষি কলসেন্টার ১৬১২৩ নাম্বারে ফোন করুন।

সংগ্রহ: কৃষি তথ্য সার্ভিস, রাজশাহী (লিফলেট)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *